শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:২০ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গাজা যুদ্ধের মধ্যে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের (পিএ) প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শতায়েহ। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে মৃত্যুসংখ্যা যখন ৩০ হাজার ছুঁইছুঁই, ঠিক সেই মুহূর্তে গতকাল সোমবার পিএ প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে তিনি জানান, তার নেতৃত্বাধীন সরকার আর দায়িত্ব পালন করছে না। পদত্যাগপত্রে গাজা ও পশ্চিম তীরের মধ্যে ঐক্যের ওপর জোর দেন তিনি।

পদত্যাগের বিবৃতিতে মোহাম্মদ শতায়েহ গতকাল বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কাছে গত ২০ ফেব্রুয়ারি আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলাম। আজ লিখিতভাবে উপস্থাপন করলাম।’

পশ্চিম তীরের রামাল্লা শহরে মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতে তিনি বলেন, ‘গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের ওপর আগ্রাসন এবং পূর্ব জেরুজালেমসহ পশ্চিম তীরে নজিরবিহীন আক্রমণের সঙ্গে সম্পর্কিত রাজনৈতিক, নিরাপত্তাসংক্রান্ত এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের নিয়ন্ত্রণাধীন গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ধারাবাহিক নৃশংসতার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র পশ্চিম তীরের পাশাপাশি উপত্যকার শাসনক্ষমতার ভার নিতে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে চাপ দেওয়ার পটভূমিতে শতায়েহর পদত্যাগের খবর সামনে এলো।

এখন মাহমুদ আব্বাস হয়তো শতায়েহকে অন্তর্বতীকালীন দায়িত্ব চালিয়ে নিয়ে যেতে বলতে পারেন। পরবর্তী সরকার দায়িত্বগ্রহণের আগ পর্যন্ত তাকে পদে থাকতে আহ্বান জানাবেন কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়। ২০১৯ সালে শতায়েহ দায়িত্ব নিয়েছিলেন।

শতায়েহ বলেন, ‘এদিকে, সরকার গঠনের পাঁচ বছর সময় অতিবাহিত হয়েছে। এটি একটি রাজনৈতিক ও পেশাদারির সরকার, যা রাজনৈতিক অংশীদার, স্বাধীন ব্যক্তিরা ও গাজার পাঁচজন নিয়ে গঠিত হয়েছিল।’

দায়িত্ব ছাড়ার বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তী পরিস্থিতিতে নতুন সরকারকে দায়িত্বগ্রহণ করতে হবে এবং গাজা উপত্যকার উদ্ভূত বাস্তবতাকে আমলে নেওয়ার পাশাপাশি জাতীয় ঐক্য সংলাপ এবং আন্তঃফিলিস্তিনি জনমতকে বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’ সেইসঙ্গে গোটা ফিলিস্তিন অঞ্চলের ওপর ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের কর্তৃত্ব সম্প্রসারণ করার দিকেও নজর দিতে হবে।

৩০ বছর আগে অন্তর্বর্তীকালীন ‘অসলো শান্তি চুক্তি’-এর ভিত্তিতে পিএ গঠিত হয়েছিল। এর মাধ্যমে সীমিত ক্ষমতার একটি সরকার কাঠামো তৈরি হলেও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য খুব কমই ভূমিকা রাখতে পেরেছে পিএ। শুরু থেকে এই শাসনকাঠামোর নিয়ন্ত্রণ ছিল ফাতাহর হাতেই। তবে ২০০৭ সালে হামাস তাদের গাজা থেকে বিতাড়িত করে। তখন থেকে তারা পশ্চিম তীরকে কেন্দ্র করে শাসন পরিচালনা করে আসছে।

শতায়েহর এই পদত্যাগ আরও একটি কারণে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। আগামীকাল বুধবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের আহ্বানে মস্কোয় হামাস ও ফাতাহর নেতারা একত্র হতে পারেন। সেখানে দুপক্ষের সাক্ষাৎ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

শতায়েহর পদত্যাগের পর হামাসের শীর্ষ কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি বলেন, ‘শতায়েহর সরকারের পদত্যাগ তখনই অর্থবহ হবে, যখন এই পদক্ষেপ পরবর্তী পর্যায়ের জন্য জাতীয় ঐকমত্যের ওপর নজর দেবে।’

এদিকে হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ২৯ হাজার ৭৮২ জন যার বেশিরভাগই নারী ও শিশু। গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে আহত হয়েছে ৭০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION